অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘কিংস তৃতীয় চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ সম্মাননা গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) অধ্যাপক ইউনূসের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
বিশ্বব্যাপী শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং পরিবেশ-প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজীবন অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস প্রধান উপদেষ্টাকে এই সম্মাননার জন্য মনোনীত করেন।
২০২৪ সালের জুন মাসে রাজা চার্লস প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপনের উদ্যাপন হিসেবে নতুন এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই পুরস্কারের প্রথম বিজয়ী ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন।
১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠা পায় ‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন’। এ দাতব্য প্রতিষ্ঠান তৎকালীন প্রিন্স অব ওয়েলসের উদ্যোগে গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদানের জন্য এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার দিয়ে থাকে।
এর আগে যুক্তরাজ্য সফররত প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন। সেখানে তারা বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়, যা ছিল একেবারে ব্যক্তিগত।’
বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা তার সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে রাজা চার্লসকে অবহিত করেন।
তিনি আরও জানান, প্রায় ৩০ মিনিটের এ বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। যেহেতু রাজা চার্লস বহুদিন ধরে প্রফেসর ইউনূসকে চেনেন, সেহেতু নানা বিষয় নিয়ে তাদের আলোচনা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘এই পুরো সফরের মধ্যে আমি বলব, এটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।’
একান্ত সাক্ষাতের পর, রাজা ও রাণীর স্বাক্ষরযুক্ত একটি ছবি উপহার হিসেবে প্রফেসর ইউনূসকে প্রদান করা হয়, যা প্রধান উপদেষ্টার জন্য একটি বড় সম্মানের ছিল বলে জানান প্রেস সচিব। এর আগে বাকিংহাম প্যালেসে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসকে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের জন্য স্বাগত জানান রাজা চার্লস।
আপনার মতামত লিখুন :