কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানিকে মৌসুমী ফল উপহার পাঠিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তাদের পক্ষ থেকে উপহারসামগ্রী আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ ড. এনামুল হক চৌধুরী। কাতারের রাজধানী দোহায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুধবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় এই উপহার প্রদান করা হয়।
চিকিৎসার জন্য সময়মতো সহযোগিতা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য বেগম খালেদা জিয়া কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একইভাবে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কাতারের রাজপরিবারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নিতে এবং পরে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাতার সরকার যে আন্তরিক সহযোগিতা করেছে, তা আমাদের প্রতি তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের প্রমাণ।’
ড. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা বেগম খালেদা জিয়াকে আপনারা যে সম্মান দিয়েছেন, সেটি আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রীকে আমি এবং আমার পরিবার ও দল গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংকট ও ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইরানের আকস্মিক হামলায় কাতারের বিমান ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তবে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় কাতারের কূটনৈতিক ভূমিকা প্রশংসনীয় ও আশাজাগানিয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংকট নিরসনে কাতারের যে ভারসাম্যপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ ভূমিকা, তা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যুদ্ধ নয়, কূটনীতি এই বিশ্বাসে আমরা কাতার সরকারের পাশে আছি।’
কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল বিভাগের পরিচালক ইব্রাহিম ইউসুফ আব্দুল্লাহ ওয়াই আনুষ্ঠানিকভাবে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের উপহার গ্রহণ করেন। এ সময় কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উপ-মিশন প্রধান ওয়ালিউর রহমান এবং কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক সাজু উপস্থিত ছিলেন।
বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ কারাবাস ও উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত থাকার পর ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে মুক্ত হন। এরপর তার শারীরিক অবস্থা এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে, সাধারণ বিমানে ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তখন কাতারের আমিরের অনুমোদনে একটি বিশেষায়িত রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়, যা তাকে ঢাকা থেকে লন্ডন এবং পরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরিয়ে আনে।