বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম

প্লাস্টিক দূষণ রোধে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে জাতিসংঘ-বিমসটেক

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে জাতিসংঘ ও বিমস্টেক। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের সেমিনারে এই উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

‘বাংলাদেশে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সমাধান ত্বরান্বিতকরণ’ শীর্ষক এই সেমিনারটি আয়োজন করা হয় ২০২৫ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে অংশ নেন নীতিনির্ধারক, শিল্প উদ্যোক্তা, যুব সংগঠক ও আন্তর্জাতিক অংশীদাররা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনওপিএস-এর বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরলিধরন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান এবং বিমস্টেক মহাসচিব হি.ই. ইন্দ্র মনি পান্ডে। সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিবছর বাংলাদেশের সামুদ্রিক পরিবেশে ৮৭ হাজার টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য প্রবেশ করে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ২০২০-২০৩০ মেয়াদের জাতীয় টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

এই পরিকল্পনায় ২০২৬ সালের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য ৩০ শতাংশ হ্রাস, ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহার এবং ৯০ শতাংশ একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী অর্থায়ন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, কার্যকর নীতিমালা বাস্তবায়ন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং গণমাধ্যমের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। একইসঙ্গে জাতীয় নেতৃত্ব ও আঞ্চলিক অংশীদারত্বের সমন্বয়েই এই সমস্যা সমাধান সম্ভব বলে মত দেন অংশগ্রহণকারীরা।

সুধীর মুরলিধরন বলেন, প্লাস্টিক দূষণ শুধু পরিবেশ নয়, অবকাঠামো ও আচরণগত সমস্যাও। একে মোকাবিলায় সাহসী ও সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার। আমরা বাংলাদেশের পাশে থেকে টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিমস্টেক মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে বলেন, প্লাস্টিক দূষণ একটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংকট। এর সমাধানে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে বিমস্টেক সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, শিল্পোন্নয়নের প্রতিটি স্তরে পরিবেশবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। এই সেমিনার শিল্প ও পরিবেশের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

Shera Lather
Link copied!