আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন খুব ভালোভাবে কাজ করবে। এটাই যে তাদের উদ্দেশ্য তা পরিষ্কার। তাই আশা করছি, আগামী নির্বাচনটি যতটা সম্ভব অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই। তবে নির্বাচন কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে, তা প্রস্তুতির ধরন ও প্রয়োগের ওপর নির্ভর করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রোববার (১৩ জুলাই) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই বলেন, আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে। যতক্ষণ না সেই দল নিজেদের সংস্কার করছে, ক্ষমা চাইছে এবং তাদের কিছু নেতার বিচার হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যে তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া কঠিন সেটি আমরা বুঝি।
তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন মানে শুধু বড় দল নয়, স্বতন্ত্র ও ছোট দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। যত বেশি দল অংশ নেবে, নির্বাচন তত বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘মুক্ত ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে। এটি তাদের অঙ্গীকার। ফ্রান্স এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে। সম্ভব হলে, আমরা ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েও সহায়তা করতে চাই।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে—এমন ইঙ্গিত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।