পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে তারুণ্যের নেতৃত্ব জাতিসংঘের যুববিষয়ক নীতি ও কার্যক্রমের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘যুবসমাজ শুধু আমাদের ভবিষ্যতই নয়, বাংলাদেশে তারা আমাদের বর্তমান। এক বছর আগে তাদের হাত ধরেই সমতা, স্বচ্ছতা এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের দাবি সার্বজনীন জন-আকাঙ্ক্ষায় রূপ নেয়।’
ঢাকায় প্রাপ্ত আজ এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলের যৌথ আয়োজনে সোমবার ‘জুলাই সীমানা ছাড়িয়ে: বাংলাদেশের রূপান্তরে যুবসমাজের শক্তি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারুণ্যের প্রতি আস্থা রাখলে তারা জাতি গঠনের কেন্দ্রে দাঁড়াতে পারে। যারা এক সময় মিছিলের অগ্রভাগে ছিল, আজ তারা নীতিনির্ধারণে অংশ নিচ্ছে। আগামী দিনের দিকনির্দেশনা ঠিক করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য- সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। তৌহিদ হোসেন তার বক্তব্যে বিগত এক বছরে বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর কথা তুলে ধরেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও জাতিসংঘের ইয়ুথ অফিসের প্রতিনিধি ড. বালাকৃষ্ণ তার বক্তব্যে বলেন, জাতিসংঘ সমাজ পরিবর্তনে যুবসমাজের অংশগ্রহণকে সর্বদা উৎসাহিত করে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তনের অগ্রভাগে থাকা যুবশক্তি অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কিত তথ্যচিত্র এবং পোস্টার, দেয়াললিখন ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে যুব সমাজের অনন্য অবদানকে উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।