শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৬:০২ পিএম

পিআর পদ্ধতিতেই গঠন হবে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৬:০২ পিএম

জাতীয় সংসদ ভবন। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবন। ছবি- সংগৃহীত

দীর্ঘ আলোচনা ও মতানৈক্যের পর অবশেষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ২৩তম দিনে মধ্যাহ্ন বিরতির পর এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

দীর্ঘ সংলাপ চললেও দলগুলোর মধ্যে পূর্ণ ঐকমত্য না হওয়ায় উচ্চকক্ষ গঠনের পদ্ধতি নির্ধারণের দায়িত্ব কমিশনের ওপর অর্পণ করা হয়। সেই দায়িত্বের আলোকে কমিশন পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ চূড়ান্ত করে।

কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চকক্ষ আইন প্রণয়নের নিজস্ব ক্ষমতা পাবে না। তবে অর্থবিল ছাড়া অন্য সব বিল নিম্নকক্ষের পাশাপাশি উচ্চকক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারবে না। এক মাসের বেশি বিল আটকে রাখলে সেটি অনুমোদিত বলে গণ্য হবে।

বিল পাসের প্রক্রিয়ায় উচ্চকক্ষ শুধু পর্যালোচনা ও সুপারিশমুখী ভূমিকা পালন করবে। কোনো বিল প্রত্যাখ্যান করলে, তা সংশোধনের পরামর্শসহ আবার নিম্নকক্ষে পাঠানো হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নিম্নকক্ষ।

কমিশনের প্রস্তাবে আরও বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় উচ্চকক্ষের প্রার্থীর নামও ঘোষণা করতে হবে। এসব প্রার্থীর অন্তত ১০ শতাংশ নারী হতে হবে।

তবে এ প্রস্তাব নিয়ে বেশ কয়েকটি দল ভিন্নমত জানিয়েছে। দুপুরের বিরতির আগে বিএনপি, লেবার পার্টি, এনডিএম, ১২ দলীয় জোট এবং জাতীয়তাবাদী জোট জানায়, তারা পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের পক্ষে নয়।

পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি এবং উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা নিয়ে আমাদের মতভেদ রয়েছে। এ বিষয়ে ভিন্নমত লিখিত আকারে যুক্ত থাকলে আমরা কমিশনের প্রস্তাবে স্বাক্ষর করতে চাই না।’

এ ছাড়া সিপিবি, বাসদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং আমজনতার দল বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে উচ্চকক্ষের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এর বিরোধিতা করে। নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইন প্রণয়নের ক্ষমতা না থাকায় উচ্চকক্ষের প্রয়োজন তারা অনুভব করে না।

Shera Lather
Link copied!