ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫

দুটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখের একটিতে নির্বাচনের সময় ঘোষণা দিতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা 

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি- সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস খুব শিগগিরই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করতে পারেন। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে দুটি দিন ৫ আগস্ট এবং ৮ আগস্ট।

বিশেষ করে ৫ আগস্ট দিনটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। অন্যদিকে ৮ আগস্ট ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই দুটি দিনকেই তিনি সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে বিবেচনায় রেখেছেন।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ড. ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের দিনটিকে (৮ আগস্ট) নয়, বরং আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তন সূচিত হওয়া ৫ আগস্টকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান। তাই ওইদিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করতে পারেন।

এরইমধ্যে নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ সামনে না এলেও নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সমঝোতার ভিত্তি তৈরি হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গত ২৬ জুলাই রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, নির্বাচন ঘোষণার দিন খুব কাছেই। একই সঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনকে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছেন।

গতকাল শনিবার সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ভাষণের মাধ্যমেই নির্বাচনকাল নির্ধারণ করে দেওয়া হতে পারে।

সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনের সময় ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস জানান, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে হতে পারে। এ ছাড়া ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানান, ২০২৬ সালের রমজানের আগেই নির্বাচন হবে।