শনিবার, ০৯ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম

১০ বছরে বেড়েছে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম

উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা। ছবি- সংগৃহীত

উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা। ছবি- সংগৃহীত

দেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ জন বেকারের মধ্যে ২৪ জনই উচ্চশিক্ষিত। গত ১০ উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। চাকরির বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পড়াশোনা না থাকাই এর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, গত ১০ বছরে দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকার বেড়েছে সাড়ে ২৪ শতাংশ।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবির তথ্যমতে, জিডিপির আকারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বাংলাদেশ। গত এক দশকে প্রতিবছর জিডিপি বেড়েছে ৬-৭ শতাংশ। অথচ এসময়ে কর্মসংস্থান বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক দুই শতাংশ। 

শিক্ষাবিদরা বলেন, ‘মূলত তিনটি কারণে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। চাকরির বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে বড় ধরনের সমন্বয়হীনতা রয়েছে। কর্মের সঙ্গে শিক্ষার সংযোগ নেই। চাকরির বাজারে যে চাহিদা রয়েছে, সেই রকম জনবল আমরা তৈরি করতে পারছি না। আবার প্রতি বছর যেসব শিক্ষিত মানুষ চাকরির বাজারে যুক্ত হচ্ছেন, তাদের উপযোগী চাকরি নেই। এছাড়া শিক্ষার মান নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এই কারণে উচ্চশিক্ষা এখন আর কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। তরুণরা যত বেশি পড়ালেখা করছেন, তাদের তত বেশি বেকার থাকার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চাকরি মিলছে না।’ উচ্চশিক্ষিত বেকারের হার কমাতে কারিগরি শিক্ষা আধুনিকায়ন করে শিক্ষার্থীর হার ৬০ শতাংশে উন্নীত করার তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দুই জন অধ্যাপক বলেন, উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে মোট শিক্ষার্থীর ৭০ শতাংশের বেশি কারিগরিতে পড়ালেখা করছেন।এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার্থী হবে ২০ শতাংশ। ২০২৪ সালে এসে বলা হচ্ছে ১৬ শতাংশ। তবে আন্তর্জাতিক কারিগরি শিক্ষার সংজ্ঞা অনুযায়ী এই হার মূলত ৯ শতাংশ। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বাড়ছে না বিনিয়োগ। ফলে নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে না।

বাংলাদেশের বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান বলেন, ‘প্রবৃদ্ধি এবং চাকরি সৃষ্টির মধ্যে যে পার্থক্যটা, এটা হয়তো কিছুদিন আমাদের সহ্য করতে হবে।’

দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও শিল্পায়নে পরিকল্পিত বিনিয়োগ ছাড়া এ সংকট কাটানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!