ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

হাসিনা সরকারের আমলে কেনা স্পাইওয়্যার তদন্তে কমিটি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ১২:২০ এএম
ছবি- সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ‘ইসরায়েল’ থেকে স্পাইওয়্যারসহ বিভিন্ন নজরদারির সরঞ্জাম কেনার অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য তুলে ধরেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এই কমিটি সরঞ্জামগুলো কীভাবে, কোথা থেকে, কী পরিমাণ অর্থে কেনা হয়েছে এবং সেগুলো কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে।

সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, ‘সার্ভেইলেন্সের যন্ত্রপাতি বিগত সরকারের সময় কেউ বলছেন প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়েছে, কেউ বলছেন ২০০ মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়েছে।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের মানুষের নাগরিক অধিকার হরণের জন্য নজরদারির যন্ত্রপাতি, স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে। এই অবৈধ নজরদারির জন্য আমার-আপনার ন্যূনতম বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সংবিধানে যে গোপনীয়তার অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেটাকে তারা খর্ব করেছে।’

প্রেস সচিব জানান, পুলিশের জন্য মারণাস্ত্র কেনার অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চলমান সংস্কার কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের দেওয়া ১২১টি সুপারিশের মধ্যে ১৬টি ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং ১৪টি আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে।

এর পাশাপাশি আরও নতুন ২৪৬টি আশু করণীয় সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে শ্রম সংস্কার বিষয়ে ৮২টি, নারীবিষয়ক সংস্কারে ৭১টি, স্থানীয় সরকার বিষয়ে ৩৭টি, স্বাস্থ্য খাতে ৩৩টি এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত ২৩টি সুপারিশ রয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টারা এসব সংস্কার সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বলে প্রেস সচিব জানিয়েছেন।