একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোটসহ একগুচ্ছ সংশোধনী এনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ সংশোধনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এই তথ্য জানান। তিনি জানান, আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং হয়ে এলে আরপিও সংশোধনের গেজেট প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, ‘না’ ভোটের বিধান করা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা, সম ভোটের ক্ষেত্রে লটারি প্রথা বাতিল, ভোটের ৪৫ দিন আগে প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইসি অধীনস্ত করা, নির্দেশনা না মানলে সরাসরি শাস্তির বিধান, হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচিত হওয়ার পরও প্রার্থিতা বাতিলসহ একগুচ্ছ সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে, দুইজন প্রার্থী সর্বোচ্চ সমান ভোট পেলে লটারি প্রথা বাদ দিয়ে ফের ভোট, প্রার্থীদের জামানত বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা, ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকা, নির্বাচনি ব্যয় তদারকি কমিটি গঠন, দলের নির্বাচনি আয়-ব্যয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ, প্রতীক বরাদ্দের আগেই মামলার নিষ্পত্তি, হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে ভোটের পরেও ব্যবস্থা, মিথ্যা অভিযোগ প্রদানে মামলাসহ বেশকিছু প্রস্তাব রয়েছে।
গত ১১ আগস্ট ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেছিলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকছে না। এ-সংক্রান্ত সব বিধান বিলুপ্ত করা হয়েছে। তবে ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কোথাও একক প্রার্থী থাকলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে পারবেন না। ওই প্রার্থীকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হতে হবে। যদি ‘না’ ভোট বেশি হয়, তাহলে সেই আসনে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেছিলেন, ফল বাতিলের বিষয়ে ইসির ক্ষমতা পুনর্বহাল করা হয়েছে। ভোটে কোনো অনিয়ম হলে একটি, দুটি কেন্দ্র অথবা পুরো আসনের ফল কমিশন চাইলে স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কার্যকরের বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন