ভোজ্য তেলের দাম লিটার প্রতি এক টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এ প্রস্তাবে আপত্তি তুলেছে বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
বর্তমানে সরকার নির্ধারিত খুচরা দামে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটার প্রতি ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭৪ টাকা এবং পাম তেল ১৫০ টাকায়।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি মেনুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ীরা কয়েক দিন আগে প্রতি লিটার তেলের দাম ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই প্রস্তাবে সম্মতি না দিয়ে দাম কেবল ১ টাকা বাড়ানোর সুপারিশ করে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবকে ‘অতিরিক্ত’ বলেও মন্তব্য করে মন্ত্রণালয়।
তবে বৈঠক শেষে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা থাকলেও তা হয়নি। ফলে বৈঠকটি কার্যত সিদ্ধান্তহীনভাবে শেষ হয়।
একজন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ইতোমধ্যেই ১,২০০ ডলার ছাড়িয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়েছে ১৮-২০ শতাংশ। ট্যারিফ কমিশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দেশে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলের দাম অন্তত ৪ টাকা ৫০ পয়সা এবং পাম তেলের দাম ৭ টাকা বাড়ার কথা। কিন্তু মন্ত্রণালয় এককভাবে মাত্র ১ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা তা মানতে রাজি নই।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা করে। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম তখন অপরিবর্তিত থেকে ১৮৯ টাকা রাখা হয়। তারও আগে ১৩ এপ্রিল সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা ও পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল মন্ত্রণালয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন