বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৫:৫৮ এএম

সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীলতার অর্থনীতি গড়তে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৫:৫৮ এএম

জাতিসংঘের উদ্বোধনী এক অনুষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যোগ দেন। ছবি- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

জাতিসংঘের উদ্বোধনী এক অনুষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যোগ দেন। ছবি- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ব নেতাদেরকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আরও কার্যকর অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘চলুন, আমরা এমন একটি মর্যাদা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার অর্থনীতি গড়ে তুলি, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।’

এ বিষয়ে তিনি পাঁচটি অগ্রাধিকার তুলে ধরে বলেন, ‘এগুলো কার্যকর করলে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, বৈষম্য ও আর্থিক অস্থিরতার সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে।’

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘আমাদের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর শোনার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। বাংলাদেশে আমরা বিশ্বাস করি, দারিদ্র্য একজনের স্বপ্নের পথে বাধা হতে পারে না।’

প্রধান উপদেষ্টা মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রথম দ্বিবার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন" শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়া তার জন্য গর্বের বিষয়, যেখানে সম্ভাবনা ও দায়িত্ব একসঙ্গে রয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘চতুর্থ আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সম্মেলনে নেওয়া অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য বছরে চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ ঘাটতি পূরণ করা চ্যালেঞ্জিং হলেও অত্যন্ত জরুরি।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা আমাদের ওপর নির্ভরশীল মানুষের কণ্ঠস্বর শোনার দায়িত্ব নিচ্ছি। বাংলাদেশে আমরা বিশ্বাস করি, দারিদ্র্য একজনের স্বপ্নের পথে বাধা হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও সম্পদের ন্যায্য প্রবেশাধিকার হলো ন্যায়বিচারের মূল। একজন নারী যখন ব্যবসা শুরু করেন, যুবসমাজ যখন সৌরশক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি পায়, বস্তিবাসী শিশু যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় এবং পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা পায়- তখন পরিবর্তন বাস্তব ও টেকসই হয়।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সেভিলে অঙ্গীকার একটি নতুন কাঠামো প্রদান করে, যা দেশীয় সম্পদ আহরণ জোরদার করে, অবৈধ অর্থপ্রবাহ প্রতিরোধ করে, উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর ক্ষমতায়ন করে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।’

তিনি পাঁচটি অগ্রাধিকার তুলে ধরেন, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্থায়নকে শক্তিশালী করবে-

১. ন্যায্যভাবে দেশীয় সম্পদ উত্তোলন- আন্তর্জাতিক সহায়তার সমর্থন থাকা প্রয়োজন। করব্যবস্থা হতে হবে প্রগতিশীল, স্বচ্ছ এবং বহুজাতিক করপোরেশনগুলোর ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কর সহযোগিতা কাঠামোর আলোচনায় এই বৈষম্য দূর করতে হবে।

২. নবীন অর্থায়ন ও সামাজিক ব্যবসা- যৌক্তিক অর্থায়ন ও এমন উদ্যোগে বিনিয়োগ করতে হবে, যারা লাভ পুনরায় সমস্যার সমাধানে বিনিয়োগ করে; যা কাজের সুযোগ, অন্তর্ভুক্তি ও মর্যাদা নিশ্চিত করে।

৩. বিশ্ব আর্থিক কাঠামো ও ঋণ শাসন সংস্কার- উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও শক্তিশালী কণ্ঠস্বর দিতে হবে। ঋণকে কঠোরতার হাতিয়ার না করে, সেটিকে স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের উপায় হিসেবে রূপান্তর করতে হবে।

৪. স্বচ্ছতা, অবৈধ অর্থায়ন প্রতিরোধ ও নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা- জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজকে জানতে হবে কীভাবে সম্পদ ব্যবহার হচ্ছে, এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. সবচেয়ে দুর্বলদের জন্য বিনিয়োগ ত্বরান্বিতকরণ- স্থিতিশীল আবাসন, জলবায়ু-বান্ধব কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা মন্তব্য করেন, ‘সেভিলে অঙ্গীকার আমাদের পথপ্রদর্শক; মানবতা আমাদের সেই পথে যাত্রার আহ্বান জানায়।’

Link copied!