ঢাকা শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫

তুরস্কের সহায়তায় শহিদুল আলমকে মুক্ত করার চেষ্টা চলছে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৫, ১০:১০ এএম
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।

ইসরায়েলের কারাগারে আটক থাকা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ বিষয় জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ইসরায়েলের কারাগারে আটক সাংবাদিক শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে। তুরস্কের কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছেন যে, আজই তাকে বিশেষ বিমানযোগে আঙ্কারায় নিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে তুর্কি কর্তৃপক্ষ শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেননি। আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক ৯ অক্টোবর এ তথ্য জানিয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, শহিদুল আলম ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দ্বারা অবৈধভাবে আটক হওয়ার পর জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে ওইসব দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে মুক্ত করার দ্রুত উদ্যোগ নিতে বলা হয়। দূতাবাসগুলো শহিদুল আলমের মুক্তির বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।

গত ৮ অক্টোবর গাজা অভিমুখী ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের সবচেয়ে বড় জাহাজ কনশানসকে আটক করে ইসরাইলে। বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ ৯৩ জন অধিকারকর্মী জাহাজটিতে ছিলেন।

সেদিন বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার কিছু পর শহিদুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ইসরায়েলিরা কনশানসের দিকে এগিয়ে আসছে।’ আরেক ভিডিও ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ইসরায়েলিরা এগিয়ে আসছে।’

পরে বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিওবার্তায় দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী ও লেখক। আপনারা যদি এই ভিডিও দেখে থাকেন, তাহলে শুনুন, আমাদের সাগরে আটকে দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে। এরা সেই দেশের বাহিনী, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা নিয়ে গাজায় জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে আমি আমার সব সহযোদ্ধা ও বন্ধুর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।