ঢাকা শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

১৮ কর্মদিবসে টাইফয়েড টিকা দেবে ডিএনসিসি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০টি অঞ্চলে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী মোট ১৮ কর্মদিবসে এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে সংস্থাটি।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ১০টি অঞ্চলে ১২ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তারা। এর মধ্যে ২১৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ জন ছাত্রছাত্রী ও কমিউনিটির প্রায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সংস্থাটি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত শিশু-কিশোরদের জন্য এই বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। এজন্য সরকারের নির্ধারিত ভ্যাকসিন নিবন্ধন (https://www.vaxepi.gov.bd/) পোর্টালে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী মোট ১৮ কর্মদিবসে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

তিনি বলেন, ২১৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭,৬০,৭৯০ জন ছাত্রছাত্রী ও কমিউনিটির প্রায় ৫,৩৩,২৭৯ জন শিশুসহ মোট ১২,৯৪,০৬৯ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। ৯ থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি, সমমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।

প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ১০ দিন টিকা দেওয়া হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)। ১৩ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে মোট ১৮ দিন টিকা দেওয়া হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)।

এ ছাড়াও ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্যাটেলাইট, আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)। প্রতিটি টিমে দুজন টিকাদান কর্মী ও তিনজন ভলান্টিয়ার কাজ করবে। ক্যাম্পেইনের সেশন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহমুদা আলী জানিয়েছেন, যেসব শিশুর জন্মনিবন্ধন নেই, নানা কারণে নগরের অনেক শিশুর জন্মনিবন্ধন করা হয়নি। এ কারণে বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকেরা নিবন্ধন করতে পারছেন না। তাই তাদের জন্য অপশন, শিশু-কিশোরদের নিয়ে সরাসরি নির্ধারিত কেন্দ্রে চলে যেতে হবে। সেখানে থাকা ডিএনসিসির সংশ্লিষ্টরা সার্ভারে তথ্য দিয়ে টিকা কার্ড বের করে দেবেন। তারপর তারা টিকা নিতে পারবে। তবে যেসব শিশু জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে টিকা কার্ড সংগ্রহ করবে, তাদের টিকা সার্টিফিকেট হলুদ রঙের হবে। আর যেসব শিশুরা জন্মনিবন্ধন ছাড়া টিকা কার্ড দিয়ে সেবা নেবে, তাদের সবুজ রঙের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।