গুম এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দুটি অভিযোগে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ দাবি করেছেন, সামনে আরও অনেক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন আদেশ আসতে পারে।
তবে শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে চাউর হওয়া খবরটিকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন গুজব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
পোস্টের শুরুতে প্রেস সচিব লিখেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় কেউ কেউ দাবি করেছেন যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আরও শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই দাবিগুলোকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন গুজব’ হিসেবে খারিজ করেছেন।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আইসিটি মুখ্য প্রসিকিউটর কার্যালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে যে বর্তমানে অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা কর্মীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি) করার কোনো পরিকল্পনা নেই।’
পোস্টে প্রেস সচিব জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের ভ্রান্ত তথ্যে বিশ্বাস না করতে। এসব আলোচনা সাধারণ মানুষ এবং বিশেষত সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির প্রচেষ্টা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব গুজবের উদ্দেশ্য হলো আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের সাধারণ নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করা।’
তিনি স্পষ্টভাবে আরও বলেন, ‘সরকারের ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) ভেঙে ফেলার কোনো পরিকল্পনা নেই। সরকার ট্রান্সবর্ডার এবং বাইরের বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত এজেন্সির উপর মনোযোগ বাড়ানোর জন্য সংস্কারের কথা বিবেচনা করছে।’