বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদকে ‘ইলিগ্যালি অ্যাবসেন্ট’ (অবৈধভাবে অনুপস্থিত) ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য দেশের সব সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে সেনা সদর জানিয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।
জানা গেছে, জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলের (জেআইসি) অধীনে ভুক্তভোগীদের আটক ও নির্যাতনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘মেজর জেনারেল কবীর না জানিয়ে অবৈধভাবে ছুটিতে গেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন।’
মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আরও দায়িত্ব পালন করেছেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর পরিচালক হিসেবে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তাকে স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকসের কমান্ড্যান্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।
সেনাবাহিনীর ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা কোনো অন্যায় করেননি; তবে বিভিন্ন বাহিনীতে প্রেষণে (ডেপুটেশনে) গিয়ে কিছু ব্যক্তি অপরাধে জড়িত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান আরও বলেন, ‘ওয়ারেন্ট ইস্যুর বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যা প্রয়োজন। ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন