শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০৭:২২ পিএম

চীনের সঙ্গে কাজের ‘ঝুঁকি’ ঢাকাকে স্পষ্ট করবেন ক্রিস্টেনসেন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০৭:২২ পিএম

ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। ছবি- সংগৃহীত

চীন ও দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজে ‘ঝুঁকি’ বোঝাতে বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটের ফরেন রিলেশন্স কমিটির এক শুনানিতে প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

চীন কর্তৃক বাংলাদেশের সাবমেরিন ঘাঁটি ‘সংস্কার’ ও ‘২০টি চীনা যুদ্ধবিমান কেনার’ প্রসঙ্গে টেনে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় চীনা প্রভাব নিয়ে আপনার উদ্বেগের সঙ্গে আমি একমত। এবং (রাষ্ট্রদূত হিসেবে) নিশ্চিত হলে, চীনের কার্যক্রম, তাদের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মেরিটাইম খাত এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে জড়িত হওয়ার ঝুঁকির বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হব।’

ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে, বিশেষ করে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর আরও নিবিড় অংশীদারত্বের ফলে যে সুযোগ ও সুফল মিলবে, তা তুলে ধরব।’

এর আগে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনসংখ্যাবহুল দেশ হলেও বড় প্রতিবেশিদের ছায়ায় পড়ে থাকায় বাংলাদেশ যথাযথ মনোযোগ পায় না। ফরেন সার্ভিসের চাকরিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতি নিয়ে ২০ বছরের বেশি সময়ের কাজের অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে, যার মধ্যে এর আগে ঢাকায় কাজ করাও রয়েছে। ফলে আমি দেশটির গুরুত্ব এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের তাৎপর্য ভালোমতো বুঝি। কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ অবাধ, নিরাপধ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন হয়ে উঠেছে।’

বাংলাদেশ এখন ‘গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে’ মন্তব্য করে ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বিক্ষোভ ১৫ বছর শাসনকারী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। নতুন সরকার এবং নতুন পথনির্দেশ পেতে আগামী বছরের শুরুতে ভোট দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ, যা হবে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচন।’

‘উজ্জল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের যাত্রায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিশ্চিত হলে, আমি ঢাকায় দূতাবাসকর্মীদের নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত উত্তরাধিকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কাজ করব।’

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রদূত হলে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক উন্নতি, বাণিজ্য বাধা ও বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালীকরণে কাজ করবেন তিনি।

Link copied!