ঢাকা সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকার ১২টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর পুরো অর্থই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সভায় ৯টি নতুন প্রকল্প, ২টি সংশোধিত প্রকল্প এবং ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানোর একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। তবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ প্রকল্পটি অনুমোদন না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের সময় বৃদ্ধি, মানিকগঞ্জ ও সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার হাওর এলাকায় ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটি করে নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো: সমাপ্ত চতুর্থ সেক্টর কর্মসূচির অসমাপ্ত মা, শিশু ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, নিপোর্ট ও নার্সিং অধিদপ্তরের সমন্বিত উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন চলমান কর্মসূচির অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করা। 

এ ছাড়া ঢাকা সেনানিবাসের নির্ঝর এলাকায় অফিসারদের জন্য ‘বি’ টাইপ বাসস্থান নির্মাণ, নড়াইল-কালিয়া মহাসড়কের ২১তম কিলোমিটারে নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণ, ‘বিসিক শিল্প পার্ক, টাঙ্গাইল’, মানিকগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন, সাতক্ষীরা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা হাওরের সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। এ ছাড়া, পাঁচটি প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণও এর আওতায় রয়েছে।

সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ পূর্বে অনুমোদিত নয়টি প্রকল্প সম্পর্কেও একনেক সদস্যদের অবহিত করেন। এর মধ্যে রয়েছে: শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শক্তিশালীকরণ, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সমাধিস্থল সংরক্ষণ, যুবদের আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ, তরুণদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দক্ষতা উন্নয়ন, উপকূলীয় বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি, মেহেরপুরে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন, ঢাকার অবকাঠামো ও পরিবেশ উন্নয়ন এবং র‍্যাবের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্প।

সভায় উপস্থিত ছিলেন: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ ও পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. হোসেনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।