জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগকে ঘিরে নতুন করে বিতর্কের জেরে ১১ ডিসির বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা নামে একটি সংগঠন বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর এই আবেদন জমা দেয়।
আবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হলেও প্রক্রিয়া, যোগ্যতা যাচাই ও প্রশাসনিক নীতিমালা অনুসরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংগঠনটির দাবি, নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে কয়েকজন রাজনৈতিকভাবে সুবিধাভোগী, আবার কয়েকজনের পূর্ববর্তী কর্মদক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশাসনিক নৈতিকতা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, অভিযোগ থাকা কর্মকর্তাদের কেউ কেউ অতীতে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন, কেউ প্রশাসনিক আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। আবার কয়েকজনের অভিজ্ঞতা জেলা প্রশাসকের মতো দায়িত্ব পালনের জন্য যথেষ্ট নয়।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতা রক্ষার স্বার্থে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানায় সংগঠনটি।
আবেদনে যাদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুরোধ করা হয়েছে তারা হলেন: গাজীপুরের ডিসি আজাদ জাহান, মাদারীপুরের ডিসি আফসানা বিলকিস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি শারমিন আক্তার জাহান, মানিকগঞ্জের ডিসি নাজমুন আরা সুলতানা, চট্টগ্রামের ডিসি সাইফুল ইসলাম, ময়মনসিংহের ডিসি মো. সাইফুর রহমান, নোয়াখালীর ডিসি আহমেদ কামরুল হাসান, বরগুনার ডিসি সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, সাতক্ষীরার ডিসি আফরোজা আখতার, মেহেরপুরের ডিসি লুৎফুন নাহার এবং ঢাকার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম।


