মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ১০:২৬ এএম

জীবনযুদ্ধ 

৫৩ বছর ধরে সাইকেল মেকার কাশেম

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ১০:২৬ এএম

৫৩ বছর ধরে সাইকেল–ভ্যান মেরামত করছেন পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রবীণ সাইকেল মেকার তারিকুল ইসলাম কাশেম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

৫৩ বছর ধরে সাইকেল–ভ্যান মেরামত করছেন পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রবীণ সাইকেল মেকার তারিকুল ইসলাম কাশেম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

১৯৬৮ সালের কথা। পিতার স্বপ্ন ছিল আদরের সন্তান পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হবে। সে উদ্দেশ্য নিয়েই ছেলেকে ভর্তি করে দেন স্থানীয় একটি মাদ্রাসায়। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। স্কুলের গণ্ডি না পেরোতেই শুরু হয় জীবিকার লড়াই। সংসারে অভাব–অনটনের কারণে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই শুরু হয় সাইকেল মেরামতের কাজ। সংসারের প্রয়োজনে ছোট বয়সেই কাজে লেগে যেতে হয়। সেই সময় থেকে আর ক্লাসে ফেরা হয়নি।

সেই শিশু মো. তারিকুল ইসলাম কাশেমের বয়স এখন ৬৪ বছর। তিনি পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের চৌবাড়িয়া মধ্যপাড়ার মৃত নইমুদ্দিন খানের ছেলে। সবার কাছে তিনি এখন ‘কাশেম মেকার’ হিসেবেই পরিচিত। জীবন–জীবিকার তাগিদে নিখুঁত দক্ষতায় দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে সাইকেল–ভ্যান মেরামতের পেশায় জড়িত তিনি।

পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের শরৎনগর বাজারের জিগাতলা এলাকায় একটি ভাড়া দোকানে ভ্যান, বাইসাইকেল ও রিকশা মেরামতের কাজ করে চলছে তার জীবন। কাশেমের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা পৃথক থাকেন। এখন পরিবারের সদস্য বলতে তিনি আর তার স্ত্রী।

জানা যায়, কাশেমের সাইকেল মেকার হওয়ার কথা ছিল না। পড়ালেখা শিখে পিতার লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে তিনি এখন সাইকেল মেকার! অবশ্য এ নিয়ে তার কোনো দুঃখ নেই। উপজেলার নামকরা সাইকেল মেকার তার উস্তাদ শ্রী হরেন্দ্রনাথ রায়ের কাছেই তিনি এই কাজ শিখেছেন। পরে একটি ভাড়া ঘরে নিজেই কাজ শুরু করেন। তিন পুরুষ ধরে সাইকেল মেরামত করে আসছেন তিনি। তার সঙ্গে কাজ শিখেছেন এমন কেউই এখন আর বেঁচে নেই। তিনিই এলাকার প্রবীণ সাইকেল মেকার। তার কাছ থেকে অনেকেই এ কাজ শিখে বর্তমানে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

একান্ত আলাপচারিতায় তারিকুল ইসলাম কাশেম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ‘আমার কাজের একমাত্র প্রশংসার দাবিদার মহান আল্লাহ তায়ালা। বাকিটুকু আমার স্মৃতি ও অভ্যাসের ফল। আমার হাত আর মন একত্রে কাজ করে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাইসাইকেল ও ভ্যান মেরামত করে যা আয় হয়, তা দিয়েই কোনোমতে চলছে সংসার। এই জীবন তবু চলে যাচ্ছে। বয়স বাড়ছে, হয়তো একসময় আর কাজ করা সম্ভব হবে না। এই কাজ আর আল্লাহর গুণগান করেই বাকিটা জীবন কাটাতে চাই।’

Link copied!