সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম

কড়াইল বস্তিতে হাইটেক পার্ক নির্মাণের প্রস্তাব ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও আজগুবি’

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে হাইটেক পার্ক নির্মাণসংক্রান্ত এক ‘অনভিপ্রেত প্রস্তাব’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর হাজার হাজার মানুষ যখন অসহায় ও গৃহহীন, তখন এ ধরনের 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত সফটওয়্যার খাতের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, কড়াইল বস্তিতে হাইটেক পার্ক নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কেউ কেউ মৌখিক ও লিখিতভাবে কড়াইল বস্তির জায়গায় হাইটেক পার্ক নির্মাণের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। তবে সরকার এই প্রস্তাব আমলে নেয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, বর্তমানে কড়াইল বস্তির জায়গায় কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের নেই।

ফয়েজ আহমদ জানান, কড়াইল বস্তির প্রায় ৪৩ একর জায়গা বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের হলেও এটি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। অতীতে এই জায়গাটির মালিকানা ছিল টিঅ্যান্ডটির (বর্তমান বিটিসিএল)। আদালতের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় আইসিটি সেখানে এমনকি দখলে যাবার চেষ্টাও করেনি।ৰ

ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে যে সফটওয়্যার পার্কটি ছিল, সেটির ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মেরামতের কাজ শুরু করতে হয়েছে এবং কোম্পানিগুলোকে অস্থায়ীভাবে সরানো হয়েছে। এখন কারওয়ান বাজারে সফটওয়্যার পার্ক তৈরির জন্য নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, গত বছরের শেষের দিকে এই বিশাল প্লটের বনানী কর্নারের যে অংশে কোনো স্লাম নাই, তার ছোট অংশে একটি সফটওয়্যার পার্ক ভবন নির্মাণের কথা উঠেছিল। মানবাধিকারকর্মীদের পরামর্শক্রমে সেই পরিকল্পনা থেকেও আইসিটি বিভাগ বিরত থাকে।

তিনি বলেন, বর্তমানে কড়াইল বস্তিতে যেকোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। বরং এই প্রেক্ষাপটে সরকার গণপূর্ত ও রাজউককে আলাদাভাবে চিঠি দিয়েছে; যাতে ঢাকার আগারগাঁও, পূর্বাচল কিংবা অন্যান্য এলাকায় সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণের জন্য জমি প্রদান করা হয়। এর অংশ হিসেবে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আগারগাঁওয়ের একটি প্লট বরাদ্দ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এই প্লটে সফটওয়্যার পার্ক এবং হাইটেক পার্কের প্রধান অফিসসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য একটি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে, যাতে গণপূর্ত বিভাগ সায় দিয়েছে।

ফয়েজ আহমদ বলেন, কড়াইল বস্তিতে অবকাঠামো তৈরির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই, চলমান কোনো প্রকল্প বা প্রস্তাবনাও নেই। সরকারের পরিকল্পনার সাথে আদৌ সংশ্লিষ্ট নয়, এমন বক্তব্য প্রদানে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।

হাজার হাজার মানুষ যখন আগুনে বিপর্যস্ত হয়ে নিরাপত্তাহীন অসহায় পরিস্থিতিতে রয়েছে, তখন হাইটেক পার্ক স্থাপনের ‘আজগুবি’ বিষয় সামনে এনে 'সরকারকে বিব্রত করার এমন অপচেষ্টা'র নিন্দা জানান তিনি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!