ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

‘অজ্ঞাতনামা জুলাই শহীদদের পরিচয় শনাক্তে সময় লাগবে’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. ছিবগাত উল্লাহ

জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের পরিচয় শনাক্তের উদ্দেশ্যে রোববার (০৭ ডিসেম্বর) থেকে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্তকরণ সম্পন্ন করতে সিআইডি এ উদ্যোগ নিয়েছে।

রোববার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মরদেহ উত্তোলনের এ কার্যক্রমে ঢাকা জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সহযোগিতা করছে।

মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরুর আগে রায়েরবাজার কবরস্থানে কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফ করেন সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. ছিবগাত উল্লাহ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকেরা এ কার্যক্রমে অংশ নেবেন।

চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে আজ বিকেলে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সাথে কথা বলেন অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর প্রধান ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. ছিবগাত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা আজ দুজনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে পেরেছি। আপনারা জানেন, এটা সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনে হচ্ছে। শুধু আমরা বা ফরেনসিক নয়, এ বিষয়ে আরও অনেক স্টেকহোল্ডার রয়েছে। এটা অনেক দীর্ঘ ও সতর্কতামূলক কাজ। আমরা অত্যন্ত যত্ন নিয়ে কাজটি করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যেই জেনেছেন, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন আর্জেন্টিনার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুয়িস ফনডিব্রাইডার। আন্তর্জাতিক এই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ৪০ বছর ধরে বিশ্বের ৬৫টি দেশে এ ধরনের কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মিনেসোটা প্রটোকল অনুযায়ী মানবাধিকারের বিষয়গুলো নিশ্চিত করেই এ কাজ শেষ করা হবে।

‘কাজটি শেষ করতে কত দিন লাগবে আমরা জানি না’ মন্তব্য করে সিআইডিপ্রধান বলেন, ‘তবে আমরা বিশ্বাস করি, যারা রক্ত দিয়ে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছিলেন, তাদের আমরা শনাক্ত করতে পারব।’

মো. ছিবগাত উল্লাহ বলেন, ‘তবে আশা করছি, কাল থেকে আরও দ্রুত কাজ করা যাবে। তবে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে ঠিক কতদিন লাগবে, তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। হ্যাভ পেশেন্স (ধৈর্য ধরুন), আমাদের কাজটি সঠিকভাাবে করতে দিন।’