ইসলামিক কর্মকাণ্ড না চললে মসজিদের কোনো উপকার নেই: ধর্ম উপদেষ্টা

দেশের নির্মিত মডেল মসজিদগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে ইসলামিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘মসজিদ নির্মাণই শেষ কথা নয়; যদি নিয়মিত নামাজ ও ইসলামি কার্যক্রম না চলে, তবে মসজিদ থেকে কোনো উপকার পাওয়া যায় না।’

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নাটোরের গুরুদাসপুর মডেল মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. খালিদ হোসেন বলেছেন, দেশের ৫৬৪টি মডেল মসজিদের মধ্যে গুরুদাসপুর মডেল মসজিদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলো। ১৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিনতলা বিশিষ্ট এই মসজিদে নিয়মিত নামাজ ও ইসলামিক কার্যক্রম চালু থাকলেই এর প্রকৃত সুফল পাওয়া সম্ভব। মুসল্লি না থাকলে কিংবা ইসলামিক কর্মকাণ্ড না চললে মসজিদ নির্মাণের উদ্দেশ্য পূরণ হয় না।

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ, শূন্যপদে আসছেন কারা

বিস্তারিত পড়ুন

তিনি বলেন, ‘ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের বেতন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের সব জেলখানায় বন্দিদের জন্য কুরআন শিক্ষা ও নিয়মিত নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে, যাতে মুক্তির পর তারা সঠিক পথে থাকতে পারেন।’

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ফিনল্যান্ড-ডেনমার্কসহ পৃথিবীর অনেক দেশে জেলখানা নেই, কারণ সেখানে অপরাধ নেই বললেই চলে। আমরাও যদি ভালো হয়ে যাই, তাহলে সমাজে অপরাধ কমে যাবে।’

ড. খালিদ হোসেন আরও বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে। তারপরই পূর্ণমাত্রায় নির্বাচনী আমেজ শুরু হবে। আশা করছি দেশবাসী একটি ভালো সরকার উপহার পাবে।’

অনুষ্ঠানে গুরুদাসপুরের ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ, মডেল মসজিদ প্রকল্পের পরিচালক শহিদুল আলম, নাটোরের পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল মাওলানা মোতাহার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।