ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা ২২ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেছেন।
সিইসি জানিয়েছেন, নির্বাচনি প্রচারণা ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬, সেই সঙ্গে একই দিন গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা চলবে।
নির্বাচনি তপশিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দল, ভোটার ও সাধারণ মানুষ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করেছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখ (বৃহস্পতিবার) ৩০০ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন এবং একই সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫-এর ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত ভোটার ও ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। প্রাথমিক বিশ্লেষণে মোট কেন্দ্রের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৭ লাখের বেশি সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ইসি জানিয়েছে, আগামী সংসদ নির্বাচনে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন ভোটার চূড়ান্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং ১,২৩৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, যারা ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন, তারা এই চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এবারই প্রথম, এক বছরে তিনবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হলো। এই ১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার সারা দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২,৭৬১টি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসির তথ্যানুযায়ী, ৬৪ জেলার ৩০০ সংসদীয় আসনে মোট ৪২,৭৬১টি ভোটকেন্দ্র থাকবে। পুরুষদের জন্য ১,১৫,১৩৭টি কক্ষ এবং নারীদের জন্য ১,২৯,৬০২টি কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২,৪৪,৬৪৯টি। এ ছাড়া, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৪টি, যেখানে প্রায় ১২,০০০টি ভোটকক্ষ থাকবে।
প্রতি ভোটকক্ষে গড়ে প্রায় ৩,০০০ ভোটার থাকবে। এই কেন্দ্রগুলোকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে ধরা হয়েছে। প্রয়োজনের ভিত্তিতে ভোটকক্ষের সংখ্যা সামঞ্জস্য করা যেতে পারে।


