যেন রূপকথার উল্টো পাতা! আগের ম্যাচেই আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বলে (১৫.৫ ওভার) ২০০ রানের বেশি তাড়া করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেই দলটাই কিনা পরের ম্যাচেই ধরাশায়ী।
এদিন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ১০০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেও ছিটকে গেল আইপিএলের প্রথম চ্যাম্পিয়নরা। চেন্নাই সুপার কিংসের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে তাদের বিদায় ঘণ্টা বাজল।
জয়পুরের সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাই। রোহিত শর্মা ও রায়ান রিকেলটনের বিস্ফোরক ওপেনিং জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় তারা।
এই জুটি ১১৬ রান তোলে, যেখানে দুজনেই ব্যক্তিগত অর্ধশতক হাঁকান। এরপর ঝড় তোলেন পান্ডিয়া ও সূর্যকুমার যাদব। তাদের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে মুম্বাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২১৭ রানের পাহাড় গড়ে তোলে।
কিন্তু সেই রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ে রাজস্থান। আগের ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড গড়া দুই ওপেনারই এদিন ব্যর্থ। ১৪ বছর বয়সী বিস্ময়বালক বৈভব সূর্যবংশী, যিনি আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়েছিলেন, এদিন রানের খাতা খোলার আগেই দীপক চাহারের শিকার হন। গত ম্যাচের নায়ক নিমেষেই খলনায়ক।
এরপর যশস্বী জয়সওয়ালও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ট্রেন্ট বোল্টের বলে ১৩ রান করে বোল্ড হন তিনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা রাজস্থান ১৬.১ ওভারে মাত্র ১১৭ রানে অলআউট হয়ে যায়।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন পেসার জোফরা আর্চার। অধিনায়ক রিয়ান পরাগ ১৬ ও শুভাম দুবে ১১ রান করেন। মুম্বাইয়ের হয়ে বোল্ট ও কার্ন শর্মা তিনটি করে এবং জাসপ্রিত বুমরাহ দুটি উইকেট নেন।
এই হারের ফলে ১১ ম্যাচে আটটিতে পরাজিত হয়ে রাজস্থানের আইপিএল যাত্রা এখানেই শেষ হলো। অন্যদিকে, প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরে ধুঁকতে থাকা মুম্বাই যেন উড়ন্ত ঘোড়া। পরের ছয় ম্যাচে টানা জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচে মুম্বাইয়ের দুই ওপেনারই ছিলেন বিধ্বংসী। রায়ান রিকেলটন ৩৮ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। রোহিত শর্মা শুরুতে দেখে শুনে খেললেও পরে হাত খোলেন এবং ৩৬ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৫৩ রান করেন।
এই দুজনের বিদায়ের পর সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়া রাজস্থানের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান। দুজনেই ২৩ বলে ৪৭ রান করেন। সূর্য চারটি চার ও তিনটি ছক্কা এবং পান্ডিয়া ছয়টি চার ও একটি ছক্কা মারেন। রাজস্থানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মহেশ থিকশানা ও রিয়ান পরাগ।