ঢাকা শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

নেতৃত্বশূন্য দক্ষিণ কোরিয়া, তবে কি ভেঙে পড়ছে সরকার?

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২, ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের ভূকম্পন। আগামী জুন মাসে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) তার পদত্যাগের খবরটি নিশ্চিত করে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, নিজেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা এমন এক সময় এলো, যখন নির্বাচনের আর মাত্র এক মাস বাকি। শুক্রবার (২ মে) থেকে হান ডাক-সু তার আনুষ্ঠানিক প্রচারাভিযান শুরু করবেন বলে জানানো হয়েছে। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার শাসনব্যবস্থায় শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যা ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলেছে।

দায়িত্ব নিলেন না ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টও

প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা ছিল অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মোকের। কিন্তু একই দিনে তিনিও পদত্যাগের ঘোষণা দেন। 

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দলীয় কোন্দল ও অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণেই তিনি দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান। এর ফলে কে সাময়িকভাবে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।

নির্বাচন ঘিরে আরেক ধাক্কা: প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে মামলা পুনরুজ্জীবিত

এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম প্রধান বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী লি জে-মিউংয়ের নির্বাচন-ভাগ্য নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

তার বিরুদ্ধে আনা নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নিম্ন আদালতের খালাসের রায় বাতিল করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

মামলাটি ফেরত পাঠানো হয়েছে হাইকোর্টে। যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তার নির্বাচনী প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যেতে পারে, যা বিরোধী দলটির জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক শূন্যতা ও নেতৃত্ব সংকট

অল্প সময়ের ব্যবধানে দেশটির সর্বোচ্চ দুই শীর্ষ নেতা- প্রধানমন্ত্রী এবং সম্ভাব্য ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট- পদত্যাগ করায় রাষ্ট্র পরিচালনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতৃত্বের এই সংকট ভোটারদের আস্থা ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা কিংবা বিশৃঙ্খলার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।