ঢাকা শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫

‘১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২, ২০২৫, ০৯:০২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের ফার্মাসিস্টরা ‘বিপ্লব’ ঘটিয়েছেন। প্রায় ৯৮ শতাংশ দেশীয় ওষুধের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে কোম্পানিগুলো।

শুক্রবার (২ মে) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সরকারি হাসপাতালে নিয়োগদানের জন্য অংশীজনদের সঙ্গে ‘স্বাস্থ্যসেবায় হাসপাতালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সভা হয়।

সভায় জানানো হয়, পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে হাসপাতাল ফার্মাসিস্টদের বিকল্প নেই। কেননা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী ডাক্তার-ফার্মাসিস্ট-নার্স মডেলটি উন্নত স্বাস্থ্যসেবায় একমাত্র গ্রহণযোগ্য মডেল এবং প্রতি ২৫ শয্যার হাসপাতালের জন্য একজন করে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট থাকা প্রয়োজন। অথচ বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নেই, যা একটি উদ্বেগজনক বিষয়। 

এ সময় বক্তারা বলেন, মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দক্ষ চিকিৎসক ও নার্স ছাড়াও দক্ষ ফার্মাসিস্ট থাকা জরুরি। যারা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীর জন্য সঠিক ওষুধ নির্বাচন করবেন। উন্নত দেশে হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট থাকা বাধ্যতামূলক হলেও বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে এর প্রচলন নেই।

বক্তারা আরও বলেন, তবে বেসরকারি খাতের বড় হাসপাতালগুলোতে এর প্রচলন আছে। যে কারণে এসব হাসপাতালে রোগীরা উন্নত সেবা পাচ্ছেন।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে জানানো হয়, দেশে মোট ৬৫৪টি সরকারি হাসপাতাল, শয্যার সংখ্যা ৫১ হাজার ৩১৬টি। অথচ এই বিপুলসংখ্যক হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও হেলথ টেকনোলজিস্ট থাকলেও একজনও গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নেই।

বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের হাসপাতাল ফার্মাসি কমিটির সভাপতি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন,  স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান ও ফার্মাসি কাউন্সিলের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ (আন্তর্জাতিক) উপস্থাপন করেন ড. ইউ লি চ্যাং এবং মূল প্রবন্ধ (জাতীয়) উপস্থাপন করেন মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।