স্প্যানিশ লিগে ভ্যালেন্সিয়াকে গোল-বন্যায় ভাসাল বার্সেলোনা। তারা ৬-০ গোলে হারায় ভ্যালেন্সিয়াকে। বার্সেলোনার হয়ে জোড়া গোল করেন লেভানডফস্কি, রাফিনিয়া ও ফেরমিন লোপেজ। এই গোলোৎসবের ম্যাচে নতুন রেকর্ড গড়ল কাতালানরা। বদলি হিসেবে নেমে রাফিনিয়া ও লেভানডফস্কি জোড়া গোল করেছেন। লা লিগার ইতিহাসে এমনটা আগে কখনোই দেখা যায়নি। এবারই প্রথম একই দলের দুই বদলি খেলোয়াড় এক ম্যাচে জোড়া গোল উপহার দিলেন।
নতুন করে তৈরি হওয়া ক্যাম্প ন্যু এখনো খোলার অনুমতি পায়নি লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বার্সা। তাদের ছয় হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে খেলতে হচ্ছে। এ স্টেডিয়ামের মাঠ ছোট হলেও বার্সার পারফরম্যান্সে সেটির কোনো প্রভাব পড়েনি। বিশেষ করে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়ে বড় জয় পায় কাতলান ক্লাবটি। এ জয়ে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কোচ হান্সি ফ্লিকের দল। ৪ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ১২ এবং বার্সার ১০। বার্সার তরুণ তুর্কি লামিনে ইয়ামাল চোটের কারণে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি। তার অনুপস্থিতি দলকে বুঝতে দেননি রাফিনিয়ারা। প্রথমার্ধের শুরুতে আধিপত্য বিস্তার করেও গোলের পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না বার্সা। ফেরান তোরেস ও মার্কাস রাশফোর্ড একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথম গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ২৯ মিনিট পর্যন্ত। তোরেসের সহায়তায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লোপেজ।
ম্যাচের প্রথামার্ধে ভ্যালেন্সিয়া একটিও শট নিতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে কোচ ফ্লিক বদলি হিসেবে নামান রাফিনিয়াকে। এর পরই মূলত বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। রাশফোর্ডের ক্রস থেকে প্রথমে গোল করেন রাফিনিয়া। তিন মিনিট পর দূরপাল্লার শটে দ্বিতীয়বার জাল খুঁজে পান লোপেজ। এরপর কাছ থেকে দুর্দান্ত শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাফিনিয়া।
শেষ দিকে বদলি নামেন অভিজ্ঞ লেভানডফস্কি ও দানি ওলমো। ওলমোর পাস থেকে গোল করেন পোলিশ স্ট্রাইকার লেভা। ৮৬ মিনিটে মার্ক বের্নালের পাস থেকে দলের ষষ্ঠ ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লেভা। ফলে বড় জয় পায় বার্সা। এ জয়ে খুবই খুশি কাতালান কোচ ফ্লিক। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা দেখিয়েছি কী করতে চাই, সেটিই করে দেখিয়েছি। দল প্রতিটি পজিশনে দুর্দান্ত ছিল। আর আমার জন্য দারুণ ব্যাপার হলো আমাকে ফেরান (তোরেস) আর লেভানডফস্কির মধ্য থেকে একজনকে বেছে নিতে হচ্ছে।’