এএফসি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন ইতালিয়ান প্রবাসী ফুটবলার ফাহামিদুল ইসলাম।
তবে রহস্যজনকভাবেই চূড়ান্ত দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
গুঞ্জন ওঠে, গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের সঙ্গে বাদানুবাদের কারণে দল থেকে ফাহামিদুলকে বাদ দেন কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুলিংয়েরও শিকার হতে হয়েছে বসুন্ধরা কিংসের এ গোলরক্ষককে।
এ নিয়ে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রাবণ বলেন, ‘ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা ঠিক না আসলে। একটি ঘটনা যাচাই-বাছাই না করে কোনো কিছু বলা ঠিক নয়। এটার প্রভাব আসলে মাঠেও পড়ে। আপনি তখন পুরোপুরি মনোযোগী থাকতে পারেন না।’
তবে শ্রাবণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এসব বুলিং এড়িয়ে মাঠের ফুটবলে বেশি মনোযোগ দিতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘এগুলো আমি মেনে নিতে পারি। কিন্তু পরিবারের লোকজন যখন এগুলো দেখেন, তখন তাঁরা এসব মেনে নিতে পারেন না। এর প্রভাব অবশ্যই পড়ে। এগুলো কাটিয়ে ওঠার উপায় হলো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকা।’
এদিকে, ফেডারেশন কাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপা জেতে বসুন্ধরা কিংস। যেখানে বসুন্ধরার জয়ের নায়ক ছিলেন শ্রাবণ।
দুর্দান্ত দুটি সেভ দিয়ে দলকে শিরোপা জেতান তিনি। এসব সেভের পর অবশ্য আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী এমি মার্তিনেজের ‘আইকনিক সেলিব্রেশন’ উদ্যাপন করেন তিনি।
এ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে, ফাইনালে দলকে শিরোপা জেতানোর পেছনে অবদান রাখতে পেরেছি। সেভ করার পর হঠাৎ মনে পড়ে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের উদ্যাপনের কথা। একজন আর্জেন্টাইন ভক্ত হিসেবে মার্তিনেজকেও অনুসরণ করি। তাঁর খেলা দেখি। উদ্যাপনটা তাঁর মতোই করেছি।’