ঢাকা রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫

তারেক রহমান

আমরা নির্ভীক ও পক্ষপাতহীন সাংবাদিকতাকে সম্মান করি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৫, ১১:২৪ এএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্ভীক ও পক্ষপাতহীন সাংবাদিকতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে শনিবার (৩ মে) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ কথা বলেন। পোস্টে ২০০৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও নিজের ব্যাঙ্গ করা ছবি যুক্ত কেরে দেন।  

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি এক নতুন ধারার সাংবাদিকতা থেকে প্রেরণা গ্রহণ করে। যা নৈতিকতা ও সততার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখে। আমরা নির্ভীক ও পক্ষপাতহীন রিপোর্টিংকে সম্মান করি; এমনকি তা আমাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার সঙ্গে না মিললেও। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একটি স্বাধীন ও মুক্ত সংবাদমাধ্যমই গণতন্ত্রকে গঠন বা ধ্বংস করতে পারে। সততা ও নিরপেক্ষতা সহকারে সাংবাদিকতা রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে জনগণের সেবা করা উচিত।

বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আসুন আমরা একতাবদ্ধ হই। সাংবাদিকদের নৈতিক অঙ্গীকারসহ সত্য প্রকাশের স্বাধীনতা ও সুরক্ষার পক্ষে সোচ্চার হই। সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন; তাদের কাজকে রক্ষা ও স্বীকৃতি দিতে হবে, আক্রমণ বা সেন্সর নয়।

পোস্টে শেখ হাসিনার সময়কালকে ইঙ্গিত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে আমরা দেখেছি কিভাবে সদ্য পতন ঘটানো এক কর্তৃত্ববাদী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিকল্পিতভাবে খর্ব করা হয়েছে।

সেই অন্ধকার সময়ে, অটল সাহস ও প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যর্থতার মতো বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করেছেন।

এসব সাহসী সাংবাদিকরা মূলধারার মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে, দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিলেন; সত্য অনুসন্ধানে তারা ছিলেন অটল, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্নে এবং মত প্রকাশের মৌলিক মূল্যবোধ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, যদি আমরা একটি শক্তিশালী ও টেকসই গণতন্ত্র গড়ে তুলতে চাই, তবে সাংবাদিকতার সততা ও স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে। আসুন আমরা সকল ভিন্নমত পেছনে ফেলে একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি। যেখানে নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করে, সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেও।