ঢাকা সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫

আসছে ছাত্রদের আরেক রাজনৈতিক দল ‘আপ বাংলাদেশ’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

আগামী শুক্রবার (৯ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ছাত্রদের আরেক নতুন রাজনৈতিক দল ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ’ (আপ বাংলাদেশ)।

এদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। 

জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বে থাকা একটি অংশ, যারা নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিতে যোগ দেননি, মূলত তারাই এই রাজনৈতিক দলটি নিয়ে আসছেন।

এ দল গঠনের উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাত। তারা দু’জনই জাতীয় নাগরিক কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।

এ বিষয়ে আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ৯ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার মাধ্যমে আমাদের দলটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।

তিনি জানান, আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুথানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা উপস্থিত থাকবেন। তাদের উপস্থিতিতেই এ কমিটি ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠকরা।

তবে নতুন এ রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে কে বা কারা থাকবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শীর্ষ পদে কতজনকে রাখা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়নি।

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য গত মার্চ থেকে কাজ করছেন জুনায়েদ ও রাফে। সে সময় নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরির ঘোষণা দেন তারা। এরপর বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে মতামত সংগ্রহ করেন।

এরপর গত ১০ এপ্রিল জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ ফেসবুক পোস্টে নতুন রাজনৈতিক দলের  নাম ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’ ঘোষণা করেন। 

একই পোস্টে নিজেকে আপ বাংলাদেশের প্রধান উদ্যোক্তা জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে গঠিত হতে যাওয়া আসন্ন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের নাম আমরা ঠিক করেছি ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’।

‘জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বলতে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি, যেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে প্ল্যাটফর্মটি এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি আরও লেখেন, ‘পিলখানা, শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ এবং জুলাইয়ের আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার দাবিতে জনমত ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা এই প্ল্যাটফর্মের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে বিবেচিত হবে।’

‘বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন, সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠাকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সামাজিক চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুনর্গঠন এই প্ল্যাটফর্মের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশে ছেড়ে পালানোর পর থেকে দেশে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দল এনসিপি ছাড়াও নিউক্লিয়াস পার্টি, জনপ্রিয় পার্টি, জাগ্রত পার্টি, আমজনতার দল, আ-আম জনতা পার্টি… গত আট মাসে এমন অন্তত দুই ডজনের বেশি নাম যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে।