শেখ হাসিনার আমলে চালানো বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে ছাত্রলীগ। একই দোষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধের জোর দাবি থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অনড় ছাত্র-জনতা।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের গোপনে দেশত্যাগের পরেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে। রাজধানীসহ দেশের বেশকিছু জায়গায় এ নিয়ে বিক্ষোভ চলছে। এতে অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এদিকে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে কিছু না বললেও সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, এই দুই সংগঠনকে নিষিদ্ধের ফরমালিটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হলে তিনটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ ব্যাপারটা আদালতের রায়, নির্বাচন কমিশন অথবা সাধারণ মানুষ যদি চায়।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা দল নিষিদ্ধ করা বা নিবন্ধন বাতিল করা সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন দেশে রয়েছে। এর আগেও এমন নজির রয়েছে, আদালতের রায়ও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে বসে দেশের সকল রাজনৈতিক দল যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রস্তাব দেয় অথবা আদালতের রায়ের অবজারভেশনে যদি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আসে, তখন অবশ্যই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার (৯ মে) বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার পরেই ঘরে ফিরতে চান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :