হজরত লোকমান হাকিমের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রসিদ্ধি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। তার নামে পবিত্র কোরআনে একটি সুরা আছে।
তিনি নবী ছিলেন, না কি আল্লাহ তাআলার বিশেষ বান্দা ছিলেন, তা নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ আছে। লোকমান হাকিম নিজের ছেলেকে বেশকিছু উপদেশ দিয়েছিলেন। সেগুলো আল্লাহতায়ালা কোরআনে বর্ণনা করেছেন।
লোকমান হাকিমের ১০ উপদেশ
১. আল্লাহর সঙ্গে শরিক (অংশীদারত্ব) সাব্যস্ত না করা : পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে ছেলে, আল্লাহর সঙ্গে শরিক কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা মহা অন্যায়।’ (সুরা লোকমান, আয়াত : ১৩)
২. পিতা-মাতার সঙ্গে সদাচার : ‘আর আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। দুই বছরে তার দুধ ছাড়ানো হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার মাতা-পিতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই কাছে ফিরে আসতে হবে।’ (সুরা লোকমান, আয়াত : ১৪)
৩. অন্যায়-অপরাধ থেকে বিরত থাকা : ‘হে বৎস, কোনো বস্তু যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়, অতঃপর তা যদি থাকে প্রস্তরগর্ভে, আকাশে অথবা ভূগর্ভে, তবে আল্লাহ তাও উপস্থিত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ গোপন-ভেদ জানেন, সবকিছুর খবর রাখেন।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৬)
৪. নামাজ আদায় : ‘হে বৎস, নামাজ কায়েম করো।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৭)
৫. সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ : ‘সৎ কাজে আদেশ দাও, মন্দ কাজে নিষেধ কোরো।’ (প্রাগুক্ত)
৬. বিপদে ধৈর্য ধারণ : ‘বিপদাপদে সবর করো। নিশ্চয়ই এটা সাহসিকতার কাজ।’ (প্রাগুক্ত)
৭. মানুষকে অবজ্ঞা না করা : ‘অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা কোরো না।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৮)
৮. অহংকার না করা : ‘পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৮)
৯. বিনয়ী হওয়া: ‘পদচারণে মধ্যবর্তীতা অবলম্বন কোরো।’ (প্রাগুক্ত)
১০. মানুষের সঙ্গে নিচু কণ্ঠে আকর্ষণীয়ভাবে কথা বলা: ‘কণ্ঠ নিচু কোরো। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।’ (প্রাগুক্ত)
আপনার মতামত লিখুন :