ঢাকা সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

আগেও দুইবার নিষিদ্ধ হয়েছিল আ.লীগ 

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর শনিবার (১০ মে) আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িক নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এর আগেও দুইবার এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। যদিও এবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করে, তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসক হিসেবে আইয়ুব খান ক্ষমতা নেওয়ার পর সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেন। যেখানে আওয়ামী লীগও ছিলো। এ ছাড়া ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছিলো পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান।

এর আগেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগের তিনটি অংশ ও  পিডিপিসহ স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী সব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে।

১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি (পিবিএসপি) ও পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (পিবিসিপি) নিষিদ্ধ করা হয়। বামপন্থি মাওবাদী সংগঠন দুটি এখনও নিষিদ্ধ রয়েছে।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে বাকশাল গঠন করে একদলীয় শাসন চালু করেন শেখ মুজিব। তবে ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর সামরিক আইনে বাকশালের কার্যক্রমসহ সব রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধ করা হয়েছিলো।

১৯৭৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মো. সায়েম রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। এই সময়ে জোহরা তাজউদ্দিনসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা বাকশাল থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত করেন। তবে নেতৃত্বের বিরোধে আওয়ামী লীগ দুই ধারায় বিভক্ত হয়। শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আসার পর আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ভেঙে আবার বাকশাল গঠিত হয়। 

এর আগে, ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় জামায়াতসহ নিষিদ্ধ সব দল রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ পায়। তবে সে বছরই ভোটের রাজনীতিতে ফিরতে পারেনি। জামায়াত নেতারা ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) নামের একটি দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন। 

এ ছাড়া দেশজুড়ে বোমা হামলার পর ২০০৫ সালে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশকে (জেএমবি) সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়। ২০০৯ সালে হিযবুত তাহ্‌রীর নিষিদ্ধ হয়। সবশেষ গত বছরের ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়।

২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের শাসনামলে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেন হাইকোর্ট।

২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরিকে নিষিদ্ধ করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত বছরের আগস্টে  গঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে।