আমৃত্যু জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যাব বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
পোস্টে সারজিস আলম লিখেন, ‘জুলাইয়ের প্রথম প্রহরে আমরা ছুটলাম বাংলাদেশের ৬৪ জেলার উদ্দেশ্যে। আমৃত্যু জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।’
এর আগে, ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ‘আলোয় আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল’ স্লোগানে মঙ্গলবার (১ জুলাই) প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচির মাধ্যমে শুরু হলো গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীকে ঘিরে ছাত্রদলের ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচি। আয়োজকদের মতে, এই আয়োজন ছিল শহীদ ও আহতদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের বার্তা বহনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশছাড়া করেছে। সেই রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী ছাত্র-শ্রমিকদের প্রতি আজ শ্রদ্ধা জানাচ্ছি আমরা।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয় চূড়ান্ত হয়েছিল শহীদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে।
কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে একক ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদলের অবদান ছিল সর্বাধিক। সবচেয়ে বেশি ছাত্রদল কর্মী গ্রেপ্তার, আহত ও শহীদ হয়েছে। এই আত্মত্যাগ আমরা ভুলে যাব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে আমরা নতুন ধারার ছাত্র রাজনীতি চর্চা করছি এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমরা শুধু ইতিহাস গড়িনি, তা রক্ষার প্রতিজ্ঞাও করেছি।’
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১২ জুলাই গুলশানে ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির শহীদদের পরিবারের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আপনার মতামত লিখুন :