সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ধারাবাহিক নির্যাতন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবিতে জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয়ে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন সংস্থাটির মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ হুমা খান।
স্মারকলিপিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা, নারী নির্যাতন, ছাত্র নিপীড়ন, গেস্টরুমে অমানবিক নির্যাতন এবং রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্যারা-মিলিশিয়ার ভূমিকায় অংশগ্রহণের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।
এবি পার্টির পক্ষে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ও যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি এবং সদস্য ব্যারিস্টার ইরতিকা আহমেদ।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি বলেন, ‘ছাত্রলীগ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে ভয়াবহ সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে। গেস্টরুম সংস্কৃতি, নারী নির্যাতন, রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর হামলা এবং সাম্প্রতিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও কার্যকলাপের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, যেন ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে করে দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত সংগঠনটির সদস্যরা যাতে আর কোনোভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় থেকে পার না পায় এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সেটাই আমাদের চাওয়া।’
জাতিসংঘের প্রতিনিধি স্মারকলিপি গ্রহণ করে এবি পার্টির দাবিগুলো মনোযোগসহকারে শোনেন এবং জানান, বিষয়টি তারা যথাযথভাবে বিবেচনা করবেন। তবে এমন ধরনের আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণে সদস্য দেশগুলোর সক্রিয় ভূমিকার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্মারকলিপি পেশের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সহকারী নারীবিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শীলা, নারীনেত্রী রাশিদা আক্তার মিতু, সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, ছাত্রপক্ষের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান আসিফ, দপ্তর সম্পাদক সোলায়মান আল হাবিব এবং অর্থ সম্পাদক জাওয়াদ হামিম।