শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম

ন্যায়ের পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রসুলের দেখানো পথেই: তারেক রহমান

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি- সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি- সংগৃহীত

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহ রাব্বুল আ-লামিনের নিকট প্রার্থনা করি, মহানবির শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি শেষ নবি সাইয়েদুল মুরসালিন হজরত মোহাম্মদ (স.)-এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তাঁর প্রতি সালাম জানাই।’

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাণীটি পাঠান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী, এই দিনটি মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর দুনিয়াতে আগমণের আনন্দ ও তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন এবং তাদের সর্বশেষ্ঠ গ্রন্থ কুরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর আগমণ দিবস মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ এবং আনন্দের। আল্লাহর প্রতি ইমান ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবির ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন আজ।’

‘তিনি সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ, আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সবথেকে বড় উপহার বা এহসান। আল্লাহ তায়ালা তাকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগৎ ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে। হজরত মুহম্মদ (স.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি আলোকিত বিস্ময়। মানবজাতি তাঁর আগমণে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ন-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিস্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সে জন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।’

তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রসুলের দেখানো পথে। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের বাণী তথা তওহিদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। অন্ধকারের যুগ তথা আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যভিচার-অনাচারের অরাজকতা বিরাজমান ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সময় যাঁর আগমণ হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আ-লামিন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দুরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবি (স.)-এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।’


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বাণী

এদিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী, বিশ্বজগতের এক সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের আবির্ভাবের দিন।’

‘এই শিশুর শুভাগমণ সারা দুনিয়াকে নাড়া দেয়। এই দিনটি নবিজির জীবনে মূল্যবোধ, যেমন সততা, নম্রতা, উদারতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তার দেখানো পথে চলার অনুপ্রেরণা লাভের এক মহিমান্বিত মুহূর্ত। ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। তাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি- সংগৃহীত

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশ্বমানবের নিকট এক অসাধারণ আলোকবর্তিকা, শান্তি-সংগ্রাম-সম্প্রীতির আধার চরম সত্যবাদী ও পরম বিশ্বস্ত হজরত মোহাম্মদ (স.)। তাঁর কালজয়ী মূল্যবোধ, মানবতা, সহমর্মিতা, উদারতা, মানুষের প্রতি সহানুভূতি মানবজাতির নিকট এক পরম শিক্ষা হয়ে থাকবে।’

‘কৈশোরকাল থেকেই তিনি মিথ্যার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা, যিনি কোনোদিন আমানতের খেয়ানত করেননি, অন্যের উপকার করা যিনি পরম কর্তব্য বলে মনে করতেন। বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন মহানবি (স.)। পরম সত্যের সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রেখে তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়াত লাভ করেন।’

‘কঠোর পরিশ্রমী প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তিনি তাওহিদের বাণী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করেও। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কুরআন মহানবির (স.) ওপর অবতীর্ণ করেন, যা মানবজাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মুক্তির যাবতীয় নির্দেশাবলি অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষকে পরিপূর্ণ ও মর্যাদাশীল করে তোলে। তাঁর জীবন ও কর্ম অনুসরণের মাধ্যমে মুসলিমরা শৃঙ্খলিত মানুষের মুক্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠাসহ নিজেদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করার অনুপ্রেরণা পায়। আমি শেষ নবি সাইয়েদুল মুরসালিন হজরত মোহাম্মদ (স.)-এর প্রতি সালাম জানাই।’ যোগ করেন তিনি।

Link copied!