শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ১১:০৫ পিএম

ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচারণার নিন্দা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ১১:০৫ পিএম

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এবং হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে চলা অপপ্রচার ও নির্বাচনী অনিয়মের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম । 

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক প্রেস বিবৃতিতে শিক্ষক ফোরাম অভিযোগ করেন, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল ও তার অনলাইন সমর্থকরা নির্বাচনের আগে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে এবং ভোটের দিন বিভিন্ন অনিয়ম করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য প্রকাশ করা হয়। এই তথ্যটি বিভিন্ন অনলাইন চ্যানেল ও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়। তবে বাস্তবতা হলো, ওই সময় শুধুমাত্র নির্বাচনী সরঞ্জাম যেমন ব্যালটবাক্স, পেপার ও অন্যান্য উপকরণ রিটার্নিং অফিসারদের তত্ত্বাবধানে পাঠানো হয়েছিল। ব্যালট পেপার নির্বাচনের দিন, অর্থাৎ পরের সকালে সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচনী কেন্দ্রে পৌঁছায়।

শিক্ষক ফোরাম উল্লেখ করেছে, নির্বাচনের আগে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ছাত্রদলকে নির্বাচনের আগেই কোণঠাসা করার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে। তারা আরও বলেন, ‘মুখে সবসময় সৃষ্টিকর্তার নাম উচ্চারণ করা হয়, কিন্তু নির্বাচনে জেতার জন্য মিথ্যাচারের মতো পাপ করতে তারা পিছপা হয়নি।’

বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশনের ‘বিশেষ রাজনৈতিক মতাবলম্বী সদস্যদের’ ও প্রভোস্টদের অপতৎপরতাকেও দায়ী করা হয়েছে।

অভিযোগ করা হয়েছে, জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়া, প্রার্থী ও ভোটারদের হয়রানি, ব্যালট ও ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (১৫ নম্বর হল), জাহানারা ইমাম হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে এসব অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। ১৫ নম্বর হলে প্রভোস্ট সরাসরি একটি প্যানেলের পক্ষে ভোট চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া পর্যবেক্ষক দলও ব্যালট পড়ে থাকা, ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি এবং অন্যান্য অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেছে।

শিক্ষক ফোরাম আরও জানিয়েছে, হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালটে ক্রমিক নম্বর এবং মুড়ি থাকলেও জাকসুর ব্যালটে এগুলো ছিল না। ক্রমিক নম্বর থাকাটা ভোটের বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটার শনাক্তকরণের জন্য পূর্ণাঙ্গ তালিকা ছবিসহ সরবরাহ করা হয়নি, ফলে অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের হলে ভোট দিতে পারেননি। দ্বৈত ভোট প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নির্বাচনী অমোচনীয় কালি ব্যবহারও অনেক ক্ষেত্রে হয়নি।

শিক্ষক ফোরাম মনে করে, নির্বাচনের আগের রাতে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে, নির্বাচনের দিন বিভিন্ন অনিয়ম সংঘটিত হওয়া সবই এক সূত্রে গাঁথা। তারা এই প্রহসনের নির্বাচনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে, অভিযোগগুলো সুষ্ঠুভাবে সমাধান করার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে ফোরামের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান, অধ্যাপক ড. মাহবুব কবির, অধ্যাপক ড. এম. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম, অধ্যাপক ড. নাজমুল আলম সহ প্রায় ৭০ জন শিক্ষক।

Link copied!