বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এনসিপিকে আমরা কোনো শক্তি বলেই মনে করি না। এটা ঠিক, এই ছাত্ররাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বারুদে আগুন দিয়েছিল। কিন্তু এখন তাদের আর কিছুই নেই। ডাকলেও লোক আসে না।’
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
এনসিপি নাকি আপনাদের কাছে আসন চেয়েছিল- এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এনসিপি কখনো চায়নি। তবে জামায়াত চেয়েছে। এনসিপির এখন একমাত্র লক্ষ্য বিএনপিকে সরকার গঠন করতে না দেওয়া।’
সাক্ষাৎকারে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) ও জামায়াতের রাজনীতি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জামায়াত ভোটে আসবে। পিআর-টিআর নয়, মানুষ যে পদ্ধতিতে ভোট বোঝেন, সেই প্রচলিত পদ্ধতিতেই হবে ভোট। জামায়াতও অংশ নেবে।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াত আমাদের কাছে ৩০টি আসন চেয়েছিল। আমরা উৎসাহ দেখাইনি। অনেক কম একটি সংখ্যার কথা বলেছি, যা তাদের মনঃপূত হয়নি। যাই হোক, জামায়াতকে আমরা মাথায় উঠতে দেব না। তারা যত বড় শক্তিই হোক না কেন, আমরা অকারণে তাদের অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়েছি। পিআর-টিআর- সবই বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল। জামায়াত কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আসলে দেশের মানুষ প্রবলভাবে নির্বাচন চাইছেন। সেনাবাহিনী চাইছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও চাইছেন। পরিস্থিতি বদলেছে। দলের পক্ষ থেকে আমরা তার সঙ্গে কথা বলেছি। এখন দেখছি, তিনি সর্বোচ্চ সিরিয়াস। আন্তরিকভাবেই চান, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হোক।’