ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পরবর্তী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হতে চলেছেন সাবেক ক্রিকেটার এবং দিল্লির সাবেক অধিনায়ক মিঠুন মানহাস।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই পদে নির্বাচিত হবেন বলে ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
এটি ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে একটি বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে, কারণ এই প্রথম জাতীয় দলে না খেলা কোনো ক্রিকেটার বিসিসিআই সভাপতির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
কেন মানহাসকে বেছে নেওয়া হলো?
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ডের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে মানহাসকে সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক গঠিত লোধা কমিটির সুপারিশ ছিল, বোর্ডের শীর্ষ পদে একজন সাবেক ক্রিকেটারকে বসাতে হবে।
শুরুতে এই পদের জন্য সৌরভ গাঙ্গুলি, রঘুরাম ভাট এবং হরভজন সিংয়ের নাম আলোচনায় এলেও শেষ পর্যন্ত বোর্ডের সচিব দেবজিত সাইকিয়া মিঠুন মানহাসের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন।
বোর্ডের একটি সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, এটি কোনো সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। মানহাসকে নিয়ে সব ধরনের প্রযুক্তিগত এবং আইনি দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা হয়েছে।
অবশেষে বোর্ড একজন সাবেক ক্রিকেটারকে সভাপতি পদে আনার একটি পথ খুঁজে পেয়েছে।
কে এই মিঠুন মানহাস?
৪৫ বছর বয়সী মিঠুন মানহাস জম্মু ও কাশ্মীর থেকে উঠে আসা প্রথম বিসিসিআই সভাপতি হতে যাচ্ছেন। অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে কাশ্মীরের হয়ে খেলার পর তিনি দিল্লিতে চলে আসেন এবং সেখানেই তার দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয়।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৫৭টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। খেলোয়াড় হিসেবে তিনি শুধু ব্যাটের দক্ষতা দেখাননি, অধিনায়ক হিসেবেও দারুণ সাফল্য পেয়েছেন।
দিল্লি দলের নেতৃত্বে থাকাকালীন তিনি গৌতম গম্ভীর, আকাশ চোপড়া, এমনকি বীরেন্দ্র শেবাগের মতো তারকাদেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আইপিএলে তিনি দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, পুনে ওয়ারিয়র্স এবং চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন।