ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন তিনি।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আহমদ রফিক ছিলেন মহান ভাষা আন্দোলনের একজন বীর সেনানী। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় ও সাহিত্য সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি সাহিত্য সংস্কৃতি বিকাশসহ নানা সেক্টরে অসামান্য অবদান রেখেছেন। আহমদ রফিকের কর্মময় জীবন দেশের মানুষকে সবসময় প্রেরণা যুগিয়ে যাবে।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি আহমদ রফিকের মৃত্যুতে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন, ভক্ত, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত ১০টা ১২ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯৬ বছর।
বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, মৃত ঘোষণা করার সাত মিনিট আগে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এর আগে শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় বুধবার বিকেলে আহমদ রফিককে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. কানিজ ফাতেমার তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। কিডনির সমস্যার পাশাপাশি সম্প্রতি কয়েকবার তার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর আহমদ রফিককে পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় রোববার তাকে বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আহমদ রফিক নিউ ইস্কাটনের গাউসনগরের একটি ভাড়া বাসায় একাই থাকতেন। ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেওয়া এই ভাষাসংগ্রামী ২০০৬ সালে স্ত্রীকে হারান। তিনি নিঃসন্তান।
ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রাবন্ধিক ইতিহাসবিদ এই লেখক শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা পেয়েছেন। দুই বাংলার রবীন্দ্রচর্চায় তার অবদান অনন্য; কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে তাকে দেওয়া হয় ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন