ঢাকা সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫

ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠক

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
ইইউ’র একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে গণঅধিকার পরিষদ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে গণঅধিকার পরিষদ। রোববার (০৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর আলরাজি কমপ্লেক্সে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এতে অংশ নেয়।

বৈঠকে ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে গণঅধিকার পরিষদের প্রস্তুতি, দলের আর্থিক কাঠামো, নির্বাচনি পরিবেশ, সম্ভাব্য জোট, নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা এবং জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে দলের অবস্থান জানতে চান।

বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন জানান, এরই মধ্যে ৫০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং শিগগিরই আরও ১০০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে। তার দাবি, ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অনুদানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এখন পর্যন্ত আমরা কারও সঙ্গে কোনো নির্বাচনি জোটে যাইনি। আমরা বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি জরুরি, কিন্তু সরকার সে বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমাদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে, কিন্তু এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সরকার যদি এসব ঘটনার বিচার না করে তাহলে কীভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে?’

নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আমরা কমিশনের প্রতি আস্থা রাখতে চাই। তাদের আন্তরিকতা আছে, তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা ছাড়া কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। কমিশনের নিজস্ব কোনো বাহিনী নেই, আর প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনো আওয়ামী দোসররা বহাল তবিয়তে রয়েছে। নির্বাচনের আগে প্রশাসনের সংস্কার জরুরি।’

জুলাই জাতীয় সনদ প্রসঙ্গে তিনি জানান, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এরই মধ্যে একটি প্রাথমিক ঐক্যমত্য গড়ে উঠেছে। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং সনদের পক্ষে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাবেও দলগুলো একমত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনে জাতীয় ঐক্যমতের কোনো বিকল্প নেই। আমরা আশাবাদী, শিগগিরই আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারব।’

বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফারুক হাসান, শাকিল উজ্জামান, মাহফুজুর রহমান খান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, খালিদ হোসাইন, হাবিবুর রহমান রিজু, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মো. ইউনুস গাজী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জাবেদ মায়া প্রমুখ।