খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সংলগ্ন কুয়েট আইটি গেট এলাকায় অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের গুলি ও বোমা হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম ইমদাদুল ইসলাম (৪০)। তিনি স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বলে জানা গেছে।
রোববার (২ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান (৩৮)। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাতে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অফিসে বৈঠক করছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে আসা মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে এবং চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে অফিসের ভেতরে থাকা ইমদাদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হামলার পর দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে খান জাহান আলী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি অবিস্ফোরিত বোমা ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খান জাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে টার্গেট করেই এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
খান জাহান আলী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতার আশঙ্কায় কুয়েট রোড ও আশপাশের এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

