ঢাকা রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫

নতুন ও পুরোনো কুচক্রীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন ইশরাক

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ১১:০১ এএম
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি- সংগৃহীত

কারো নাম উল্লেখ না করে ক্ষোভ প্রকাশ করে মধ্যরাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন ঢাকা-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, নতুন দলের কলি থেকে শুরু করে মহাপুরোনো বিশ্বাসঘাতক দলের পুরোনো কুচক্রীরা একই হাসিনা-মার্কা সুরে কথা বলছে এবং জোরজবরদস্তি করতে চাইছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাত ২টার পর ফেসবুকে এই পোস্টটি করেছেন তিনি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, একজন নতুন কাওয়া ওবায়দুল কাওয়ার মতো অনবরত জাতির কৃতি সন্তানদের—এমনকি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদদেরও মানসম্মান ও মর্যাদার প্রতি কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করছেন। কলি দলের সেই না-ফোটা মস্তিষ্কের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। এটাই এই শ্রেণির মুখে তথাকথিত ‘নয়া বন্দোবস্ত’। যার অর্থ দাঁড়ায়— আওয়ামী লীগ যেহেতু লুটপাট করেছে, তাই আমরা তার বহুগুণ বেশি লুটপাট করব।

এদের মধ্যে আরেকটি গ্রুপ রয়েছে যারা কেবল মহাজান্তা নয়— বরং বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জাতীয় প্রতারণার নায়ক হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। এরা ঐকমত্য কমিশনে উপস্থিত ছিলেন, যাদের সেই যোগ্যতা নেই এবং নিয়মিত টকশোতে জাতীয় স্বার্থ ও জনআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি বক্তব্য প্রচার করে যাচ্ছেন।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক গ্রুপটি এখনো সরাসরি নির্বাচনের বিরোধিতা করে জনমত তৈরির কাজে লিপ্ত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এক আজব পাগল আইনজীবী, যিনি বলেছিলেন— ‘প্রধান উপদেষ্টা সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যা বলতে শুরু করবেন, সেটাই নাকি সংবিধান।’

ছাঁটাই ক্যাম্পের আরেক ব্যারিস্টার ইতিহাসকে জোড়াতালি দিয়ে উদ্ভট তত্ত্ব জপছেন এবং আজকের ও আগামীর সম্ভাবনাময় তরুণদের পথভ্রষ্ট করে চলেছেন। আর ঘি খাওয়ার জন্য রাজনীতিবিদরা আঙুল বাঁকা করেন না— জনগণের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার পক্ষে, অন্যায়-অবিচার ও জুলুমের বিপক্ষে, গুম-খুন ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে ‘আঙুল বাঁকা করা’র প্রবাদটি প্রযোজ্য।