যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি শাটডাউনের কারণে বিমান চলাচলে বিশাল ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার (০৮ নভেম্বর) দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থা একদিনে ১ হাজার ৩৩০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। ফলে হাজার হাজার যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) নিরাপত্তার কারণে ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে দৈনিক ফ্লাইটের ৪ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই পদক্ষেপে ২৫টি বিমানবন্দর এবং অন্যান্য কেন্দ্রে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে আটলান্টা, নিউইয়র্ক, সান ফ্রান্সিসকো, শিকাগো এবং নিউইয়র্কসহ অন্তত ১২টি বড় শহরে ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে।
বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে স্থল বিলম্ব কর্মসূচি আরোপ করা হয়েছে। আটলান্টা বিমানবন্দরে গড়ে প্রতিটি ফ্লাইট ৩৩৭ মিনিট বিলম্বিত হয়েছে। গতকাল প্রায় ৫ হাজার ৪৫০টি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। এর আগে শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৭ হাজার, একই সঙ্গে ১ হাজার ২৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বৃহৎ চারটি বিমান সংস্থা- আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ডেল্টা এয়ার লাইনস, সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স- শুক্রবার এবং শনিবার প্রায় ১ হাজার ৪০০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে।
‘এফএএ’ প্রশাসক ব্রায়ান বেডফোর্ড জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনে নিয়ন্ত্রক কর্মীদের ২০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ অনুপস্থিতি দেখা গেছে। এ পরিস্থিতি আরও গতি বাড়িয়েছে পাইলটদের ক্লান্তির কারণে ৫০০টিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী নিরাপত্তা রিপোর্ট জমা পড়ার মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি বলেছেন, যদি আরও নিয়ন্ত্রক কাজে না আসেন, তাহলে বিমান চলাচল ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, আকাশসীমায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সরকারি শাটডাউনের ফলে প্রায় ১৩ হাজার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক এবং ৫০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী বেতন ছাড়াই কাজ করছেন। অনেকেই কাজের জন্য উপস্থিত হতে পারছেন না, যা বিমান চলাচলে ব্যাঘাত আরও বাড়াচ্ছে।
বড় বিমান সংস্থাগুলো যাত্রীদের অসুবিধা কমানোর জন্য অর্থ ফেরত এবং বিনা মূল্যে ফ্লাইট পরিবর্তনের সুযোগ দিচ্ছে। তবে শাটডাউনের অবস্থা যদি অব্যাহত থাকে, ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

