ঐতিহাসিক সফরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা শনিবার (৮ নভেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবাদের কালো তালিকা থেকে তাকে বাদ দেওয়ার একদিন পর তিনি এ সফর করছেন। সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে বিদ্রোহী যোদ্ধারা দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ১৯৪৬ সালে সিরিয়া স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো কোনো সিরিয়ান প্রেসিডেন্টের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর।
গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আঞ্চলিক সফরের সময় অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট প্রথমবারের মতো রিয়াদে ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করেন।
সিরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক এই মাসের শুরুতে বলেছেন যে ‘আশা করা হচ্ছে’ শারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস)-এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটে যোগদানের জন্য একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।
সিরিয়ার একটি কূটনৈতিক সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ‘মানবিক সহায়তা সমন্বয় এবং সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে উন্নয়ন পর্যবেক্ষণের জন্য’ দামেস্কের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।’
শুক্রবার, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর শারা’র নাম সন্ত্রাসবাদীদের কালো তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যা অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি পিগট বলেন, শারা’র সরকার নিখোঁজ আমেরিকানদের খুঁজে বের করার জন্য কাজ করা এবং অবশিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্র নির্মূল করার জন্য মার্কিন দাবি পূরণ করছে।
মুখপাত্র আরও বলেন, মার্কিন তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ফলে ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সাথে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সিরিয়ার নেতৃত্বাধীন এবং সিরিয়ার মালিকানাধীন রাজনৈতিক প্রক্রিয়াও বৃদ্ধি পাবে।

