সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) সেলগুলোকে লক্ষ্য করে সম্প্রতি ৬১টি অভিযানের মাধ্যমে ৭১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই অভিযান ‘সুনির্দিষ্ট’ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে অনেকেই ওয়ান্টেড অপরাধী রয়েছেন এবং তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্ক পাওয়া গেছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযান ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং দেশের নিরাপত্তা ও নাগরিকদের লক্ষ্য করে ষড়যন্ত্র মোকাবিলার চলমান জাতীয় প্রচেষ্টার অংশ।’
অভিযান চলাকালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যাচ্ছিলেন, যেখানে তিনি আইএসের বিরুদ্ধে গঠিত আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দেবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দামেস্কে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি স্থাপন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করা নিরাপত্তা চুক্তি কার্যকর করতে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিরিয়ান আরব নিউজ এজেন্সির জানিয়েছে, কর্মকর্তারা এমন তথ্য উদ্ধার করেছেন যা ইঙ্গিত দেয় যে আইএস নতুন আক্রমণ পরিকল্পনা করছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নূর আল-দীন আল-বাবা বলেছেন, ‘বর্তমান প্রধান হুমকি হলো আইএসের পুনর্গঠন ও নতুন সদস্য নিয়োগ, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে।’
গত বছরের শেষ দিকে ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং তিনি রাশিয়ায় পালিয়ে যান। এর পর থেকে আল-শারার অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে।
গত শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুসারে আল-শারার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এটি ‘সিরিয়ার নেতৃত্বের অগ্রগতির স্বীকৃতিস্বরূপ,’ যার মধ্যে মাদকদ্রব্য দমন ও রাসায়নিক অস্ত্র নির্মূলের কাজ অন্তর্ভুক্ত।
আল-শারা দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি ছিলেন, কারণ তিনি পূর্বে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।


