ঢাকা রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫

শার্শায় সালিশে ক্ষমা চাইতে বলায় হামলা,  আহত ১০

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

যশোরের শার্শায় সালিশ বৈঠকে ক্ষমা চাইতে বলাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি জহুরুল ইসলামসহ একই পরিবারের অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের লাউতাড়া গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাছ ধরার ‘ঘুনি’ বসানোকে কেন্দ্র করে গ্রামের ইমরান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুসের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইমরান ইউনুসকে ধাক্কা দিলে বিষয়টি নিয়ে রাতে সালিশ বৈঠক বসে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি জহুরুল ইসলাম। সেখানে ইমরানকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে ইউনুস পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।

পরে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবলু, আব্দুল আলীম, জসিম, শাহিন, বাবলু মিস্ত্রী, আমিন, শরিফুল, ইউনুসসহ ১৫-২০ জন হামলা চালিয়ে ইমরান ও জহুরুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এসময় তাদের পরিবারের সদস্যরাও হামলার স্বীকার হন।

আহতরা হলেন- জহুরুল ইসলাম (৫০), ইমরান (২৭), নুর মোহাম্মদ (৭৩), কদর আলী (৫০), হেলাল (২৮), সালমা (৩৪), রানু (২৫) সহ আরও অনেকে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

স্থানীয়রা জানায়, জহুরুল ইসলাম ২০২১ সালের হাতেম আলী হত্যা মামলার একজন সাক্ষী ছিলেন। ওই মামলার প্রধান আসামি বাবলু সম্প্রতি জামিনে এলাকায় ফিরে আসেন। জহুরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, বাবলু ও তার অনুসারীরা প্রতিশোধমূলকভাবে পরিকল্পিত এই হামলা চালিয়েছে।

আহতদের স্বজনরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলীম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এখনো থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।