অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে এবং বাইরে এক ধরনের ‘অস্থিরতা’ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এই অস্থিরতা এখন ‘দৃশ্যমান’ বলেও মনে করেন তিনি।
দেশের জনগণের ভাষা উপলদ্ধি করতে ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক ‘অস্থিরতা বাড়ার’ আশঙ্কা প্রকাশও করেন তিনি।
শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এসময় করিডর বা বন্দরের বিষয়ে বর্তমান সরকার নয়, নির্বাচিত জনগণের সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন দেখছি কোনো না কোনো দাবি নিয়ে মানুষ রাস্তায় নামছে। মাত্র দশ মাসের মাথায় সরকারের ভেতরে এবং বাইরে এক ধরনের অস্থিরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। সরকার জনগণের ভাষা-আশা-আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তেই থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি অস্থিরতা এভাবে বাড়তে থাকলে এই সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরো সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।’
‘জনগণের ভোটে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা না করা গেলে পতিত স্বৈরাচারকে মোকাবেলা করা সহজ হবে না।’, যোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপিসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য তাদের পরিকল্পনা-কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একটি রোড ম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে আসছে। সব কিছু বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাই সরকার কিন্তু সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সরকারই বরং জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে সুকৌশলে ‘অল্প সংস্কার-বেশি সংস্কার’ এরকম একটি অভিনব শর্তের বেড়াজালে বলা যায় আটকে দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্ম পরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে থাকায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আবারো আহ্বান জানিয়ে বলবো- পরিস্থিতির অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। লোভ-লাভের প্রলোভন থেকে মুক্ত থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে বাংলাদেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব পালন করবে এই আশা করছি।’
আপনার মতামত লিখুন :