রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দ্রুত ও তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
সোমবার (২১ জুলাই) রাতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিএনপির মিডিয়া সেল। পরদিন মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার রাতে তারেক রহমান তিনটি পূর্বনির্ধারিত রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দেন।
সিদ্ধান্তগুলো হলো: জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের পূর্বঘোষিত র্যালি বাতিল, মহিলা দলের ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান’ শীর্ষক অনুষ্ঠান স্থগিত, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় সংগীত পরিবেশন না করার সিদ্ধান্ত এবং পেশাজীবীদের সভায় নিহতদের মাগফিরাত কামনায় দোয়ার আয়োজন।
দুর্ঘটনার পরপরই লন্ডন থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তারেক রহমান। তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামকে অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী টিমসহ ঘটনাস্থলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আহতদের রক্তের প্রয়োজন মেটাতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার রাতেই গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নিহত শিক্ষার্থী ও পাইলটের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়। সভায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তারেক রহমান নিজে।
বিমান দুর্ঘটনার পরবর্তী চিকিৎসা ও ত্রাণ তৎপরতা সমন্বয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর (পাভেল)-কে।
